Ticker

6/recent/ticker-posts

ফুচকা নিয়ে যত কথা/ ফুচকা প্রেমীরা কই?


ঘন্টা মামা ঘন্টা বাজিয়ে যাচ্ছে।
এখনতো টিফিন পিরিয়ড।
হই হুল্লোড় করে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে

আসলো ছোট্ট শোনামুনিরা।

লক্ষ্য একটাই।
ফুচকা মামার দোকান।
এই সময়টাতে ফুচকা মামা ব্যস্ত থাকেন
ফুচকা ডেলিভারিতে।

রাস্তার ধারে, শপিং কমপ্লেক্স, হাটে বাজারে
ছোট বড় কতোনা ঝুপড়ি ঘর।
অন্যরকম মুখরোচক খাবার
দেওয়া - নেওয়ার প্রতিযোগিতা চলে এখানে।

পড়ন্ত বিকেল। পাখিদের কলরব।
আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। বাতাসে সুমধুর গান।
শুধু মন খারাপ প্রিয় মানুষটির।
অপ্রত্যাশিত ঝগড়া।
কারো মুখে কথা নেই। দুজনের চোখে যেনো
দুই মেরুর উষ্ণ বালুর ঝলকানি।
মন্থর গতিতে ফুচকা মামার ছোট্ট রঙিন ঘরের
পাশে এসে দাড়ায় ল্যাম্পপোস্টের ন্যায়।

ফুচকা মামা শুনতে পায়, মন খারাপের গান
আকাশে বাতাসে তাল লয়ে উচ্চারিত হচ্ছে।
মুচকি হাশে মামা।
প্লেট ভর্তি করে গোল কুড়মুড়ে এক অদ্ভুত খাবার দিয়ে। ভিতরে হরেক রকমের মশলা।
টক মিষ্টি রস। তেতুল রসের সাথে ঝাল।
প্রিয় মানুষটি নিজ হাতে খাইয়ে দেয়
মন খারাপ করে থাকা মানুষটিকে।
মচমচে আওয়াজের সাথে এক দুই ফোটা
টক ঝাল রস গড়িয়ে পরে।

এই স্বাদের কাছে পরাজিত হয়ে
মন খারাপরা পারি জমায় ভীন দেশে।

হ্যা, এই মুখরোচক খাবারটিই ফুচকা।
জীবনে ফুচকা খায়নি বা পছন্দ করে না
এমন মানুষ খুজে পাওয়া দায়।
চলুন এই মুখরোচক খাবার সম্পর্কে কিছু অজানা

তথ্য জেনে নেইঃ


ইতিহাসঃ 

১৯৪৭ সালের আগে ফুচকা

আমাদের বাংলাদেশে জনপ্রিয় ছিল না।
যারা এই খাবার খেতো তাদের নিয়ে বন্ধু মহলে
মজা করা হতো।
ভারত - পাকিস্তান বিভক্তির পর অনেক
ভারতীয় অধিবাসী বাংলাদেশে চলে আসেন।
তাদের হাত ধরেই ফুচকা বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

[ ] উৎপত্তিস্থলঃ 

 দক্ষিণ বিহারের মগধে,

অনেকের মতে বারানসি।

[ ] অঞ্চল ভেদে নামঃ

বাংলাদেশঃ ফুচকা
রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশঃ পাতাসি
তামিলনাড়ুঃ পানিপুরি
পাকিস্তানঃ গোলগাপ্পা
তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যাঃ গুপচুপ
নেপালে এবং শ্রীলংকাঃ ফুলকি


[ ] ধরনঃ

 অঞ্চলভেদে নামকরণের ভিন্নতার পাশাপাশি এর পরিবেশনের পদ্ধতিতেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
পুর হিসেবে থাকেঃ আলুর পুর, সবজির পুর, সালাদের পুর, ঘুঘণির পুর , ডাবলি মিশ্রিত টকমিষ্টি রস। অনেক ক্ষেত্রে সব ঠিক থাকে, কেবল তেঁতুল রসের পরিবর্তে দেখা যায় ধনিয়া পাতার চাটনি, পুদিনা মিশ্রিত রস, লেবুর রস কিংবা মিষ্টি খেজুর রস।
এছাড়া দেশজুড়ে দই-ফুচকা বা টক দইসহযোগে পরিবেশিত ফুচকা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

[ ] দামঃ 

২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা প্রতি প্লেট।

Post a Comment

0 Comments